বাংলাদেশের অর্থনীতি | Economy of Bangladesh: BCS Preparation

উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে ও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (Economy of Bangladesh)

বাংলাদেশের অর্থনীতি (Economy of Bangladesh) মিশ্র ধরণের। বাংলাদেশের অর্থ ব্যবস্থায় একদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানা বা উদ্যোগ রয়েছে, তেমনি রয়েছে ব্যক্তি মালিকানা সম্পদ ও উদ্যোগ।

বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করা হয়। বাংলাদেশ প্রথম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন গঠন করে ১৯৮২ সালে। বাংলাদেশের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন ১৭ টি দেশ ও ১ টি সংস্থার সাথে। একমাত্র সংস্থাটি হচ্ছে- ইউরোপীয় অর্থনৈতিক পরিষদ।

বাংলাদেশের উন্নয়ন ফোরাম (BDF) এর প্রতিষ্ঠাকালীন নাম ছিলো- বাংলাদেশ এইড গ্রুপ (BAG)। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে এর নামকরণ করা হয় “প্যারিস কনসোর্টিয়াম গ্রুপ।” বর্তমান নাম হচ্ছে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম বা BDF.

LCG- Local Consultative Group, এটি বাংলাদেশকে সাহায্য করে এমন দেশ ও সংস্থা নিয়ে গঠিত স্থানীয় পরামর্শ গ্রুপ।
ECNEC এর পূর্ণরূপ হলো Executive Committee of National Economic Council. ECNEC এর চেয়ারম্যান বা সভাপতি হলেন প্রধানমন্ত্রী।

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষণা করে- ১ জুলাই, ২০১৫ সালে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ কর্তৃক স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করে- ১৫ মাচ, ২০১৮ সালে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের Per Capita GDP (Nominal)- $১৭৫২ মার্কিন ডলার।

২০১৯ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশের সাময়িক Per Capita GNI ১৯৯০ মার্কিন ডলার এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ২০৬৪ মার্কিন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেট জিডিপির প্রক্ষেপিত প্রবৃদ্ধির হার- ৮.২০। বাংলাদেশের জিডিপিতে সার্ভিস বা সেবা খাতের অবদান সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে কৃষিখাতের অবদান-ক্রমহ্রাসমান। Inclusive Development Index (IDI) এর তথ্য অনুসারে দক্ষিন এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।

বাংলাদেশের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করেন-পরিকল্পনা কমিশন। পরিকল্পনা কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশের পরিকল্পনা কমিশন অবস্থিত ঢাকার আগারগাঁও-এ।

পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রবর্তক হচ্ছে জোসেফ স্ট্যালিন এবং প্রবর্তক দেশ হচ্ছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করা হয় ১৯৭৩-১৯৭৮ মেয়াদ। বাংলাদেশে ১৯৭৮-১৯৮০ সালের মেয়াদে একটি দ্বিবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল।

প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০১০-২০২১ বাস্তবায়িত হবে ষষ্ঠ ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মাধ্যমে। পরিকল্পনা কমিশনের মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার মেয়াদকাল ৫ বছর। পরিকল্পনা কমিশনের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পানার মেয়াদকাল ১৫-২০ বছর। দারিদ্র নিরসন কৌশলপত্র (PRSP-Poverty Reduction Strategic Paper) তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশন।

IPRSP হলো- Interim Poverty Reduction Strategy Paper. জার্নাল অব বাংলাদেশ স্টাডিজ হলো বাংলাদেশের উন্নয়ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে প্রকাশিত জার্নাল।

বাংলাদেশের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সমূহ: (Economy of Bangladesh)

পরিকল্পনামেয়াদকালপ্রবৃদ্ধির লক্ষমাত্রাঅর্জিত প্রবৃদ্ধিমুদ্রাস্ফীতিদারিদ্রতার হার (%)
প্রথম১৯৭৩-১৯৭৮৫.৫০৪.০০২৫.৬২৮২.১৫
দ্বিতীয়১৯৮০-১৯৮৫৫.৪০৩.৮০১৮.৫০৬৯.৯০
তৃতীয়১৯৮৫-১৯৯০৫.৪০৩.৮০৬.৫৩৫৬.৮০
চতুর্থ১৯৯০-১৯৯২৫.০০৪.১৫৭.১৪৫০.১০
পঞ্চম১৯৯৭-২০০২৭.০০৫.২১৪.৩৮৪৮.৯০
ষষ্ঠ২০১১-২০১৫৮.০০৬.৩০৬.৪১২৪.৮
সপ্তম২০১৬-২০২০৮.০০৭.৪০৫.৫০১৮.৬০

জাতীয় আয়-ব্যয়

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এর ২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২০৬৪ মার্কিন ডলার। এর পাশাপাশি জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.২৪%। বাংলাদেশের জাতয়ি আয় গণনায় দেশের অর্থনীতিকে ভাজ করা হয় ১৫ টি খাতে।

বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎসসমূহ-আয়কর, মূল্যসংযোজন কর, বাণিজ্য শুল্ক, আবগারী শুল্ক, ভূমি রাজস্ব, স্ট্যাম্প, রেজিষ্ট্রেশন, সরকারি বাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প, সুদ বিভিন্ন ধরণের কর। জাতীয় আয়কর দিবস পালন করা হয় ১৫ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশ সরকার সবচেয়ে বেশি আয় করে মূল্য সংযোজন করা বা VAT থেকে।
VAT এর পূর্ণরূপ হলো Value Added Tax. বাংলাদেশে VAT প্রবর্তন করা হয় ১ জুলাই, ১৯৯১। বাংলাদেশে ভ্যাট এর হার ১৫%।

কর প্রধানত দুই প্রকার। ক. প্রত্যক্ষ কর, খ. পরোক্ষ কর। প্রত্যক্ষ কর প্রদান করতে হয় আইনগতভাবে বাধ্য ব্যক্তিকে। আয়কর, ভূমিকর ইত্যাদি প্রত্যক্ষ কর।

পরোক্ষ কর একজনের ওপর ধার্য হলেও তা আংশিক বা পূর্ণভাবে অন্য কোন ব্যক্তি প্রদান করতে পারে। মুল্যসংযোজন কর, আবগারী শুল্ক হচ্ছে পরোক্ষ কর।

বানিজ্য শুল্ক আরোপ করা হয় আমদানি ও রপ্তানির ওপর। আবগারি শুল্ক আরোপ করা হয় দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত, বিক্রিত ও ব্যবহ্রত দ্রব্যের উপর।

বাংলাদেশের কর আদায়ের দায়িত্ব পালন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR)। শিল্পকে উৎসাহিত করতে সাময়িকভাবে মওকুফকৃত ট্যাক্স হচ্ছে ট্যাক্স হলিডে।

একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে একটি দেশের সকল বস্তুগত ও অবস্তুগত দ্রব্য-সামগ্রীর ও সেবাপণ্যের আর্থিক মূল্যের সমষ্টি হলো মোট জাতীয় আয় (GNI).

দেশের নাগরিক বা বিদেশি নাগরিক কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ে দেশের অভ্যন্তরে মোট উৎপাদনের পরিমাণকে বলা হয় মোট দেশজ আয় (GDP). জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতিগুলো হলো- উৎপাদন পদ্ধতি, আয় পদ্ধতি, ব্যয় পদ্ধতি। এক বছরে সরকারের আয় ব্যয়ের পরিকল্পনা হচ্ছে বাজেট। বাজেট ২ প্রকার- সুষম ও অসম।

যে বাজেটে মোট আয় ও ব্যয় সমান থাকে তাকে সুষম বাজেট বলে। যে বাজেটে আয় ও ব্যয় সমান থাকেনা তাকে অসম বাজেট বলে। অসম বাজেট দুই প্রকার। উদ্বৃত্ত বাজেট ও ঘাটতি বাজেট।

বাংলাদেশর বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫০ বার (একটি অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটসহ)। সর্বোচ্চ ১২ বার বাজেট দিয়েছেন এম সাইফুর রহমান এবং আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বেকার যুবকদের জন্য ন্যাশনাল সার্ভিস প্রথম চালু হয় বরগুনা ও কুড়িগ্রামে। ২০২০-২০২১ বাজেটে সর্বাধিক অগ্রাধিকার প্রাপ্ত খাত হচ্ছে জনপ্রশাসন খাত।

বাংলাদেশের সংবিধানে বাজেট শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। তবে ‘বার্ষিক আর্থিক বিদৃতি’ হিসেবে উল্লেখ করা আছে ৮৭ নং অনুচ্ছেদে। বাজেট (Budget) শব্দটি ফরাসি শব্দ Boudgette থেকে উদ্ভুত যার অর্থ ব্যাগ বা থলে। বাজেটের গোড়াপত্তন হয় যুক্তরাজ্যে ১৭৩৩ সালে।

২০১৯-২০ অর্থ বছরে কৃষির সব উপখাত মিলে জিডিপিতে অবদান এখন ১৩.৩৫ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল সেবা খাতের। মোট জিডিপিতে এ খাতের অবদান ছিল ৫১.৩০ শতাংশ। সেবা খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবদান খুচরা ও পাইকারি ব্যবসার। জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান এখন ৩৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ, যা তার আগের অর্থবছর ছিল ৩৫ শতাংশ।

২০১৯-২০ অর্থ বছরে সেবা ও কৃষি খাতের অবদান কমেছে, শিল্পের বেড়েছে। গত অর্থবছরে সেবা খাতের পাশাপাশি কৃষি খাতের অবদান কমেছে।

সরকারি কর্মকান্ড সচল রাখার জন্য যে অর্থ ব্যয় পরিকল্পনা করা হয় তা হলো রাজস্ব বাজেট। মূল বরাদ্দের অতিরিক্ত অর্থ সম্বলিত বাজেট হলো সম্পূরক বাজেট। বিভিন্ন খাতের আয় ব্যায়ের পরিমাণের সমন্বয় সাধন করে যে বাজেট তৈরি করা হয় তা হলো সংশোধিত বাজেট। বাজেটের দুইটি অংশ, একটি রাজস্ব বাজেট এবং অন্যটি উন্নয়ন বাজেট।

বাজেট ২০২০-২১: (Economy of Bangladesh)

বাজেট ঘোষনা করা হয় ১১ জুন, ২০২০। বাজেট উত্থাপন করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটের আকার ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। সামগ্রিক আয় (রাজস্ব ও অনুদানসহ) ৩,৮২,০১৩ কোটি টাকা (জিডিপি’র ১২.০৪%, বাজেটের ৬৭.২৬%)।

রাজস্ব আয় ৩,৭৮,০০০ কোটি টাকা (জিডিপির ১১.৯২% এবং বাজেটের ৬৬.৫৫%)। অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি ১,৮৫,৯৮৭ কোটি টাকা (জিডিপি’র ৫.৮৭% ও বাজেটের ৩২.৭৫%)।

অনুদান ছাড়া সামগ্রিক ঘাটতি ১,৯০,০০০ কোটি টাকা। (জিডিপি’র ৬.০০% এবং বাজেটের ৩৩.৪৫%)। মোট জিডিপি ৩১,৭১,৮০০ কোটি টাকা। জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮.২%, মূল্যস্ফীতি ৫.৪%। সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জনপ্রশান খাতে, ১ লক্ষ ১৩ হাজার ১৬০ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ১৯.৯ শতাংশ। শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৮৫ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ১৫.১ শতাংশ। মাথাপিছু বরাদ্দ হয়েছে এই বাজেটে ৩৫,১২৬ টাকা।

রাজস্ব নীতি ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি: (Economy of Bangladesh)

  • সরকারের আয় ব্যয়ের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার কৌশলগত নির্দেশনা অন্তর্ভূক্ত থাকে রাজস্বনীতিতে। সরকারি রাজস্বের মূল উপাদান হল কর ও কর বহির্ভূত উৎস থেকে সংগৃহীত অর্থ।
  • রাজস্ব নীতির আওতাভূক্ত- ক. রাজস্ব সংগ্রহের প্রাক্কলন তেরি, খ. ব্যয় কার্যক্রমের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও গ. সম্ভাব্য বাজেট ঘাটতি অর্থায়নের উৎসসমূহ চিহ্নিতকরণ।
  • রাজস্বনীতির উদ্দেশ্য- সরকারের আয় ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা ও উচ্চতর হারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা।
  • রাজস্ব নীতির প্রভাব পরিলক্ষিত হয়- বিনিয়োগ বান্ধব, উৎপাদনশীল, কর্মসংস্থানমুখী ও দারিদ্র নিরসনের পরিবেশ সৃননের কার্যক্রমে।
  • সরকারের আয়ের প্রধান উৎস হলো রাজস্ব খাত। এ খাত থেকে সরকার মোট আয়ের ৮০ ভাগ আয় করে থাকে। রাজস্ব গঠিত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের সমন্বয়ে। বাংলাদেশের করমুক্ত আয়সীমা ৩,০০,০০০ টাকা। মহিলা ও সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ৩,৫০,০০০ টাক, প্রতিবন্ধীদের ৪,৫০,০০০ টাকা, এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৪,৭৫,০০০ টাকা।
  • পেনশন ও সঞ্চয়পত্রের সুদ বা মুনাফা আয়কর মুক্ত। বাংলাদেশের অর্থনীতির (Economy of Bangladesh) মৌলিক বৈশিষ্ট্য বৈদেশিক উৎস, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং তফসিলি ব্যাংকের নিকট ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে ঘাটতি আনয়ন।
  • সরকারের আয়ের উৎস নির্ধারণ, রাজস্ব আদায় পদ্ধতি, সরকারের ব্যয় নির্ধারণ ও ব্যয়ের পদ্ধতির ব্যবস্থাপনা হচ্ছে রাজস্বনীতি। রাজস্বনীতি প্রণয়নের উদ্দেশ্য হলো সরকারের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষ করা।
  • ট্যারিফ কমিশন যে মন্ত্রণালয়ের অধীন-বানিজ্য মন্ত্রণালয়।
  • TIN এর পূর্ণরূপ Taxpayer Identification Number.
  • সরকারের ব্যয় দুই ধরণের। উন্নয়ন ব্যয় ও অনুন্নয়ন ব্যয়। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি হল উন্নয়ন ব্যয়ের অন্তর্ভূক্ত।
  • সরকারের গৃহীত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা ADP এর মেয়াদ হলো ১ বছর।
  • ২০১৯-২০ জন্য ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
  • ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনিইসি)।
  • স্বাস্থ্য খাতে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ১০ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের এডিপিতে দেয়া হয়েছে ১৩ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। কৃষি খাতে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা। নতুন এডিপিতি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৮ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা।
  • মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ- ২৯ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ- ২৬ হাজার ১৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সড়ক ও পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ- ২৫ হাজার ১৬৩ কোটি ৩৬ লাখা টাকা।
  • বার্ষিক উন্নয় কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাকে সফল করতে বছরভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য।
  • বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভূক্ত খাতসমূহ হচ্ছে- কৃষি, পল্লি উন্নয়ন, শিল্প, বিদ্যুৎ, প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবহন, যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা প্রভৃতি।
  • একটি দেশ কতটা উন্নত তা বোঝা যায় দেশটির বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ও বাস্তবায়নের হার দেখে।
  • বার্ষিক উন্নয় কর্মসূচির অত্ত্বাবধানে থাকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
  • প্রথম বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি প্রথম হাতে নেওয়া হয় ১৯৭২ সালে।

দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি

  • দারিদ্র বিমোচনে অন্যতম সফল কর্মসূচি হলো ক্ষুদ্র ঋণ। ক্ষুদ্র ঋণ ধারণার প্রবর্তক ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস।
  • বাংলাদেশে বয়স্ক ভাতা চালু করা হয় ১৯৯৮ সালে।
  • দেশের বর্তমানে দারিদ্র সীমা ২০.৫ শতাংশ এবং চরম চারিদ্রতার হার ১০.৫%। (অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৯)।
  • দেশের সর্বাধিক দারিদ্র্য অধ্যুষিত অঞ্চল হলো রংপুর বিভাগ। জেলাগুলো হলো কুড়িগ্রাম, রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট।
  • দেশে সবচেয়ে দরিদ্র্য কুড়িগ্রামে। এই জেলার প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৭১ জনই গরিব (৭০.৮%)। এরপরই অবস্থান দিনাজপুরের। এই জেলায় দারিদ্রসীমার নিচে আছে ৬৪ শতাংশ মানুষ।
  • দারিদ্রতা কম আছে নারায়ণগঞ্জে, মাত্র ২ দশমিক ৬ শতাংশ।
  • বিভাগ হিসেবে কম দারিদ্রতার হার হলো ঢাকা বিভাগে।
  • দরিদ্র্ হিসেবে গণ্য করা হয় দৈনিক ১.২৫ ডলারের কম হলে।
  • দৈনিক ১.৩৫ সেন্ট আয়কে সর্বনিম্ন ধরে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দারিদ্রতা পরিমাপ করাকে বলা হয় এশিয়ান পোভার্টি লাইন।
  • যে সময় মঙ্গা দেখা দেয়-ভাদ্র-আশ্বিন-কার্তিক।
  • দরিদ্র হিসেবে চিহ্নিত হয় যদি দৈনিক খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ ২১২২ কিলোক্যালরির কম হয়।
  • আমাদের দেশের চরম দারিদ্র যারা তারা ১৮০৫ কিলোক্যালরির কম খাদ্য গ্রহণ করে।
  • মানব উন্নয়ন সূচক (HDI) এর ২০১৯ এর রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৫ তম।
  • ২০২১ সালের লক্ষ্যমাত্রা দারিদ্রতার হার ১৫ শতাংশে কমিয়ে আনা।
  • কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) হচ্ছে খাদ্য সহায়তার একটি কর্মসূচি।
  • VGF এর পূর্ণরূপ Vulnerable Group Feeding.
  • VGD এর পূর্ণরূপ Vulnerable Group Development.
  • একটি বাড়ি ও একটি খামার কর্মসূচির আওতাধীনে উপকার ভোগকারীর সংখ্যা ৫০ লক্ষ্যেরও বেশি।
  • টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (SDG) মেয়াদ-২০১৬-২০৩০। মোট লক্ষ্য ১৭ টি। প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্ দূরীকরণ।
  • সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (MDG) প্রথম লক্ষ্য ছিলো ক্ষুধা ও দারিদ্রতা মুক্তি যা বাংলাদেশ ২০১৫ পূর্ণ হওয়ার দুই বছর আগেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ইতিহাস | বাংলা ভূখন্ডের ইতিহাস

Leave a Comment